বিশ্ববাজারে মাত্র ২০ ডলারেই মিলবে স্পুটনিক -ভি, দাবি রাশিয়ার – Kolkata24x7


মস্কো : বছর ঘুরতে চললো করোনা মহামারীর থাবায় তছনছ গোটা দুনিয়া। দিন যত এগোচ্ছে ততই লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র। আর এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাক্সিন নিয়ে কিছুটা হলেও আশার কথা শোনালো রাশিয়া।
রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, তাঁদের তৈরি করোনার ভ্যাক্সিন স্পুটনিক-ভি আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সস্তায় মিলবে। এছাড়াও এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি এই স্পুটনিক-ভি ভ্যাক্সিন আগামী বছরের মধ্যেই যাতে দেশ-বিদেশের বাজারে বিক্রি করা যায় সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রায় ১ বিলিয়ন ডোজ উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন গবেষকরা।
এই বিষয়ে ‘গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের’ টুইটার পেজ থেকে একটি টুইট বার্তায় দাবি করে বলা হয়েছে যে, রাশিয়ানদের জন্য এই ভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিখরচায় দেওয়া হবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে এই ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের দাম ১০ ডলারেরও কম হবে।
রাশিয়ার আরডিআইএফ সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ বলেছেন, মস্কো তার অন্যান্য বিদেশী দেশগুলির জন্য আগামী বছরের মধ্যে এক বিলিয়নেরও বেশি করোনার ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। যা ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি লোককে টিকা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
মঙ্গলবার প্রকাশিত স্পুটনিক ভি এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অন্য কয়েকটি পশ্চিমী প্রতিদ্বন্ধীদের তুলনায় সস্তা। যেমন ফাইজার-বায়োএনটেক দ্বারা উৎপাদিত একটি ভ্যাকসিন, যার শট প্রতি ১৫.৫ ইউরো খরচ হয়। তবে আরও ব্যয়বহুল যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা উৎপাদিত একটি ভ্যাকসিন ইউরোপে বিক্রি হবে শট প্রতি প্রায় ২.৫ ইউরো।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে দিমিত্রভ আরও জানিয়েছেন যে, টিকার দাম না বাড়িয়ে বরং তা বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের জনগণের কাছে সহজলভ্য হিসেবে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর রাশিয়া। আর সেই হিসেবেই উৎপাদিত হচ্ছে আরও ভ্যাক্সিন।
এদিন আরডিআইএফ এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, “স্পুটনিক ভি একই জাতীয় কার্যকারিতা স্তরের এমআরএনএ ভ্যাকসিনের চেয়ে দু’বার বা আরও বেশি সস্তা হবে।”
এই বিষয়ে দেশের সরকারি গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট দাবি করেছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে স্পুুটনি-ভি’র কার্যকারিতা ৪২ দিনে ৯৫ শতাংশ।
রাশিয়ার দাবি, স্পুটনিক-ভি ভ্যাক্সিন দ্বিতীয় দফার সমীক্ষায় ২৮ দিনে ৯১.৪ শতাংশ সফল।
এছাড়াও যেসমস্ত স্বেচ্ছাসেবীরা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে এরকমই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছিল প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ৪২ দিনে এই টিকার সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ। সবমিলিয়ে বলা চলে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্পুটনিক-ভি’কে দ্রুত মাঠে নামাতে প্রস্তুত রাশিয়া।
সপ্তম পর্বের দশভূজা লুভা নাহিদ চৌধুরী।